বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

হামাস আমার চুল কাটেনি, বন্দিদশা নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে : মুক্ত ইসরাইলি পণবন্দী

হামাস আমার চুল কাটেনি, বন্দিদশা নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে : মুক্ত ইসরাইলি পণবন্দী

স্বদেশ ডেস্ক:

গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত ইসরাইলি নারী নোয়া আরগামানি শুক্রবার বলেছেন, তিনি যে আঘাত পেয়েছেন, সেটা হামাসের আক্রমণ থেকে নয়, বরঙ তাকে উদ্ধারের সময় ইসরাইলিরা যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তা থেকে হয়েছে।

এর আগে বুধবার টোকিওতে জি৭ দেশগুলোর কূটনীতিকদের সামনে কথা বলার সময় আরগামানি বন্দিদশায় তার অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন। গত ৭ অক্টোর থেকে তিনি হামাসের হাতে বন্দী ছিলেন।

বুধবার তার উদ্ধৃতি দিয়ে যেসব বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তা ভুল এবং বিভ্রান্তিকরভাবে কিছু অংশ থেকে হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ইসরাইলি মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের অসঙ্গতি তুলে ধরে আরগামানি সুস্পষ্টভাবে বলেন যে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা তাকে প্রহার করেনি কিংবা তার চুল কেটে ফেলেনি।

তিনি টোকিও বক্তৃতা নিয়ে ইসরাইলি মিডিয়া কভারেজের উল্লেখ করে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে যা ঘটেছে, তা অগ্রাহ্য করতে পারি না। এখানে আমার কথাকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে কিংবা বিভ্রান্তিকরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার বন্দিদশার সময় হামাস সদস্যরা আমাকে আঘাত করেনি, তারা আমার চুল কাটেনি; ইসরাইলি বিমান বাহিনীর এক পাইলট একটি দেয়াল গুঁড়িয়ে দিলে আমি আহত হই।’

তিনি বলেন, ‘আমি ৭ অক্টোবরের শিকার। আমি মিডিয়ার হাতে আবারো শিকার হতে চাই না।’

ইসরাইল গত জুনে গাজার নুসেরাত ও দির আল-বালা উদ্বাস্তু শিবির থেকে আরগামানিকে, ২৬, উদ্ধার করে। ওই অভিযানের সময় অন্তত ২৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তাদের বেশিভাগই ছিল নারী ও শিশু।

আরগামানি বলেন, তার বেঁচে থাকা ছিল ‌’আশ্চর্য ঘটনা।’

তিনি বলেন, ‘এটা আশ্চর্য ঘটনা। কারণ আমি ৭ অক্টোবর বেঁচেছিলাম, আমি এই বোমা হামলায় বেঁচেছিলাম, আমি উদ্ধারের সময়ও বেঁচেছিলাম।’

তিনি গাজায় আটক বাকি বন্দীদের মুক্তির ওপর জোর দেন।

তার বয়ফ্রেন্ড আভিনাতান ওর এখনো হামাসের হাতে বন্দী রয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আমার বয়ফ্রেন্ড আভিনাতান এখনো সেখানে আছে। খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই তাদের ফিরিয়ে আনা দরকার। আমরা ইতোমধ্যেই অনেক বেশি লোককে হারিয়ে ফেলেছি। আর কাউকে হারাতে চাই না।

উল্লেখ্য, আরগামানির বন্দী হওয়ার পর মিডল ইস্ট আইকে এক সাক্ষাতকারে তার বাবা বলেছিলেন, তিনি শান্তি চান, উভয় বন্দী এবং গাজার ফিলিস্তিনি- সবার দুর্ভোগের অবসান কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের ও তাদের মধ্যকার হত্যা বন্ধ করতে হবে, যাতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে।’
সূত্র : মিডল ইস্ট আই

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877